JANOTA CURFEW Results, জনতা কারফিউ এর ফল জেনেনিন
জানুন জনতা কারফিউ এর ফল কতটা সফল
যারা জানেন না তারা জানুন একদিনের #জনতা #কারফিউ এর ফল কি হবে বা এর কারণ ‼
গবেষক দের মতে করোনা ভাইরাসের একটা জায়গায় ১২ ঘন্টার বেশি বাঁচতে পারে না। আর এই ১৪ ঘন্টার কারফিউ এর ফলে মানুষ বাড়ি থেকে না বেড়ালে জমায়েত না হলে ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শ এ না এলে এই একদিন ১৪ ঘন্টা ভাইরাস এর সংক্রমণ এর #চেন টা #ভেঙে যাবে। রবিবার ছুটির দিন কেনো বাছা হলো কারন ছুটির দিনে বেশি সংখ্যক মানুষ বাইরে একত্রিত হয়।যেহেতু ছুটির দিন বাধ্যতামূলক বাইরে বেড়ানোর প্রয়োজন তেমন থাকে না। ভারতে প্রায় ১২৫ কোটি মানুষ। তার এক চতুর্থাংশ সংক্রামিত হলে ত্রিশ কোটির বেশি। সেই চাপ সামলানোর মতো পরিকাঠামো ভারতে কেন, কোথাও নেই। সংক্রামিত রোগীদের দশ শতাংশের যদি আইটিউ বা ভেণ্টিলেটর লাগে, তবে তিন কোটি। সমগ্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে চাপে। করোনায় মৃত্যুর হার বেশি নয় বলে যাঁরা সচেতনতা বৃদ্ধির সরকারি প্রচারকে অহেতুক আতঙ্ক বলে বিদ্রূপ করছেন, তাঁদের জানাই, চিকিৎসা না পেলে কিন্তু মৃত্যুর হার অনেক বাড়বে।
আর এই রবিবার জনতা কারফিউ এর মাধ্যমে আমরা ভাইরাস সংক্রমণ এর চেন টা যদি ভেঙে দিতে পারি আমরা ভারতবাসী বেঁচে যাবো।
জনতা কারফিউ এর মুল ধারণা এটা... তাই রাজনীতি না করে সফল করুন।
ইতালি কোরোনা এফেক্টেড স্টেজ ফোর কান্ট্রি গত ৪৮ ঘন্টায় ইতালিতে ৭১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতালির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভারতের থেকে অনেক উন্নত। শুধুমাত্র সচেতনার অভাবে ইতালি আজ মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে। আমাদের দেশ ভারত এখনো স্টেজ টু তে। আক্রান্তদের ক্লোজ কনট্যাক্টের বাইরে কমিউনিটিতে ছড়ালেই স্টেজ থ্রি হয়ে ফোরে পৌঁছাতে সময় লাগবে 7 থেকে দশদিন। যারা এই পোষ্টটি দেখবেন যতটা সম্ভব ছড়িয়ে দিন। এই মারন ভাইরাস থেকে নিজেকে দুরে সরিয়ে রাখার একমাত্র উপায় হল নিজেকে গৃহবন্দি করে নেওয়া । কারন মানব শরীর বাহিত এই ভাইরাস অতি সহজে একজনের থেকে অন্যের দেহে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু এর পরেও কিছু অবিবেচক মানুষ ভাইরাসটির ভয়াবহতাকে পাত্তা না দিয়ে বিনা কারনে বাইরে বেরুচ্ছেন। এই সকল অবিবেচক মানুষদের আইসোলেট করতে না পারলে ভারতের জন্য ইতালির থেকে বহুগুণ খারাপ দিন অপেক্ষা করছে । ভারত প্রায় দেড়শো কোটির দেশ। এক কোটিও যদি এফেক্টেড হয়, তার দুই পার্সেন্ট কত হয় হিসাব করুন। স্টেজ ফোরে গেলে কিন্তু ভারতের মত দেশে কি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে সেটা এখন আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
একজন ইতালিয়ান ডাক্তার লিখছেন:
আমাদের দেশে এখন ঘটে চলছে ভয়াবহ এক ট্রাজেডি। বৃদ্ধ রোগীরা মারা যাওয়ার আগে চোখের জল ফেলছেন।
কাছের মানুষদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যাবার সৌভাগ্যও তাদের নেই। তারা একা একা মরতে চাননি, কিন্তু তাদের বিদায় জানাতে হচ্ছে ক্যামেরাকে।
তারা সজ্ঞানে, সমস্ত কষ্টকে সহ্য করতে করতে মরে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামী ও স্ত্রী একই দিনে মারা যাচ্ছেন। বৃদ্ধ দাদু,দিদা নানা-নানীরা তাদের নাতি,নাতনিদের মুখ শেষবারের মতও দেখতে পাচ্ছেন না।
এই রোগ ফ্লুর চাইতেও ভয়াবহ। বিশ্বাস করুন, ফ্লু'র চাইতে অনেক ভিন্নরকমের অসুখ এটি। এই রোগকে দয়া করে তাই ফ্লু বলবেন না।
জ্বর অসম্ভব বেশি। রোগীর দম এমনভাবে বন্ধ হয়ে আসতে চায় যেন সে ডুবে যাচ্ছে। রোগীরা হাসপাতালে আসতে চায়না।
শুধু একটু অক্সিজেন পাওয়ার জন্য তারা বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
এই রোগের বিরুদ্ধে খুব সামান্য কিছু ওষুধ কাজ করে। আমরা সাহায্য করার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিন্তু সবকিছুই নির্ভর করছে রোগীর অবস্থার উপর।
বৃদ্ধ রোগীরা এই রোগের সঙ্গে যুদ্ধে পেরে উঠছেন না।
আমরা কাঁদছি। আমাদের নার্সরা কাঁদছে। সবাইকে বাঁচিয়ে তুলবার সামর্থ্য আমাদের নেই।
চোখের সামনে মেশিনে তাদের জীবন থেমে যেতে দেখছি প্রতিদিন। প্রচুর রোগী আসছে। অতি দ্রুত আমাদের আরও বেড প্রয়োজন হবে। সবার একই সমস্যা। সাধারণ নিউমোনিয়া। প্রচন্ড শক্তিশালী নিউমোনিয়া।
আমাকে বলুন কোন ফ্লু এই ট্রাজেডির জন্ম দেয় ?
এটা অত্যন্ত সংক্রামক। এই ভাইরাসটি একেবারেই অন্যরকম।
কোন কোন মানুষের জন্য ভয়ংকর। আমাদের দেশে ৬৫ উর্দ্ধ বৃদ্ধদের প্রায় প্রত্যেকের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিংবা কোন না কোন রোগ রয়েছে। কোন কোন তরুণদের জন্যও এই রোগ ভয়ংকর।
এইসব তরুণ রোগীদের দেখলে কোন তরুণই নিজেকে নিয়ে নিশ্চিন্ত বোধ করতে পারবেনা।
আমাদের হাসপাতালে কোনো সার্জারি আর হচ্ছেনা। বাচ্চাদের জন্ম, চোখের অপারেশন, কিংবা ত্বকের চিকিৎসা।
সার্জারি রুমগুলো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রূপান্তর করা হয়েছে ।
সবাই যুদ্ধ করছি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। প্রতি ঘন্টায় রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। ক্রমাগত হাতে আসছে টেস্ট রেজাল্ট। সব পজিটিভ। পজিটিভ। পজিটিভ!
সব রোগীর একরকমের কমপ্লেইন:
অসম্ভব জ্বর।
শ্বাস কষ্ট।
কাশি।
ডুবে যাবার মত দমবন্ধ অনুভূতি।
প্রায় সবাই ইনটেনসিভ কেয়ারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কেউ কেউ অক্সিজেন মাস্কের নিচেও শ্বাস নিতে পারছেননা। অক্সিজেন মেশিন এখন সোনার চাইতেও দামি।
বিশ্বাস করতে পারছিনা, কি দ্রুত এসব ঘটে গেল! আমরা সবাই ক্লান্ত।
কিন্তু কেউ থামতে চাইছিনা। সবাই মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে চলছি। ডাক্তাররা নার্সদের মত অবিরাম কাজ করে চলছেন। দুই সপ্তাহ ধরে আমি বাসায় যাই না। আমার পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের জন্য আমি শংকিত।
সন্তানদের সঙ্গে ক্যামেরা ব্যবহার করে কথা বলছি। মাঝে মাঝে আমি স্ত্রীর ছবির দিকে তাকিয়ে কাঁদি। আমাদের কারো কোন দোষ নেই।
যারা আমাদের বলেছিল এই রোগটি তেমন ভয়ংকর নয়, সমস্ত দোষ তাদের। তারা বলেছিল এটি সাধারণ এক ধরনের ফ্লু । কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আর এখন অনেক বেশি দেরি হয়ে গিয়েছে।
দয়া করে ঘরের বাইরে বের হবেননা। আমাদের কথা শুনুন। শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি কারন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেননা।
সাধারণ মাস্ক ব্যবহার করুন। প্রফেশনাল মাস্কগুলো আমাদের ব্যবহার করতে দিন।
মাস্কের অভাবে আমাদের স্বাস্থ্যও ঝুঁকির মুখে। কোন কোন ডাক্তার এখন আক্রান্ত।
তাদের পরিবারের অনেকেই জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাই নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করুন। বয়স্ক পরিবার পরিজনকে ঘরে থেকে বের হতে দেবেননা।
আমাদের পেশার কারণে আমরা ঘরে থাকতে পারছিনা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা আমাদের রোগীদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা নিজেদের শরীরে অসুখ ও ভগ্নহৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরছি। যাদের বাঁচাতে পারছিনা তাদের শরীরের কষ্ট কমানোর চেষ্টা করছি। কাল সব ঠিক হয়ে গেলে আমাদের কথা সবাই ভুলে যাবে। আমরা ডাক্তারদের এইটাই পেশা।
তাই মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এই রোগ আপনাকে না ছুঁলেও সাবধানে থাকুন। জনসমাগম থেকে দূরে থাকুন। সিনেমায় যাবেননা, মিউজিয়ামে যাবেননা, খেলার মাঠে যাবেননা।
দয়া করে বৃদ্ধ মানুষগুলোর দুঃখ অনুভব করার চেষ্টা করুন। তাদের জীবন আপনাদের হাতে। এবং আপনারা আমাদের চাইতে বেশি মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম। আপনিই তাদের রক্ষা করতে পারেন।
লেখাটি শেয়ার করুন। শেয়ার করুন যেন সমস্ত ইতালি এই চিঠিটি পড়তে পারে। সমস্ত কিছু শেষ হবার আগেই যেন পড়তে পারে ।
আমার দেশ কবে বুঝবে! কবে বলা থামাবে "আতংকিত হবেন না"!




Comments
Post a Comment
Please don't enter any spam link in the comments bok